কবি লুইস এলিজাবেথ গ্লুক
ফারুক আহমেদ রনি
সাহিত্যে ২০২০ সালের নোবেল পুরস্কারের সম্মাননা পেলেন মার্কিন কবি লুইস এলিজাবেথ গ্লুক। লুইস মূলত কবি ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৯৪২ সালের ২২ এপ্রিল নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানই তাঁর বেড়েওঠা। তাঁর সাহিত্যকর্মের মুল ভাষা ইংরেজী হলেও নিয়মিত পৃথিবীর অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে।
১৯৬৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতাগ্রন্থ ফাস্টবর্ন, উক্ত গ্রন্থ প্রকাশনার মাধ্যমে তাঁর কবিতায় ছন্দ আর সাহিত্যবোধের শিল্পমানের বিচার নির্ধারিত হয় এবং তিনি রাতারাতি সাহিত্যের বিশাল জায়গাটি পাকাপোক্ত করতে সক্ষম হন। লুইস ন্যাশনাল হিউম্যানিটিজ মেডেল,পুলিৎজার পুরস্কার, জাতীয় গ্রন্থ পুরষ্কার, জাতীয় গ্রন্থ সমালোচক সার্কেল পুরষ্কার সহ অসংখ্য পুরুস্কারের মধ্যে সর্বশেষ তার প্রাপ্তি এবং সম্মান সাহিত্যে নোবেল ২০২০ সাল।
সমকালীন আমেরিকান কবিতার ধারাবাহিকতায় সংযোজিত হচ্ছে নতুন নতুন মাত্রা। ল্যাতিন আমেরিকার সাহিত্য ভাণ্ডার শিল্পময় অবস্থানে থাকলেও বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এজরা পাউন্ড এবং এলিয়টের কবিতায় আধুনিকতার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়, বা তাদের কাব্যশৈলীতে নতুন মাত্রাযোগ হয়। উনিশ শতকের প্রথম দিকে ইংরেজি সাহিত্যে ওয়ার্ডসওয়ার্থের লিরিকাল ব্যালাডসের মাধ্যমে কবিতার রোম্যান্টিক যুগের সূচনা বলা যায়। আমেরিকান কবিরা দীর্ঘদিন ধরে কবিতায় একই প্যাটার্ন অবলম্বন করে আসছিলেন, তবে এজরা পাউন্ড বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী কবি হিসাবে বিবেচিত হোন কারণ তার কবিতায় মর্ডানিজম বা আধুনিকতাবাদ নিয়ে বিশেষ অবস্থান তৈরি করে। তিনি আধুনিক কবিদের মধ্য প্রথম সারির কবি, একই সাথে ইমেজিজম এবং ভার্টিকিজমের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যের আন্দোলনে অবদান রেখেছিলেন। তাঁর জীবনের বড় কাজটি হলো ক্যান্টোস, একটি আধুনিকতাবাদী মহাকাব্য হিসাবে রয়ে গেছে। ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাবশালী আধুনিক কবি টি.এস. এলিয়ট নিজেই ঘোষণা করেছিলেন যে এজরা কবিতায় বিংশ শতাব্দীর বিপ্লবের জন্য অন্য কোনও কবির চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
পর্যায়ক্রমে আমেরিকান কবিতায় বা সাহিত্যে যুগান্তকারী পরিবর্তনের ভূমিকায় নানা সময়ে এক একজন সাহিত্যিক তাদের নিজস্বতা নিয়ে সৃজনশীলতার পথে শিল্পকর্মগুলিতে বৈচিত্র্য আনতে সক্ষম হচ্ছেন বলে তাদের সাহিত্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে আর তাতেই সমৃদ্ধ হচ্ছে সাহিত্যের প্রতিটি শাখা। ঠিক তেমনি রবার্ট ফ্রস্টের দ্যা লেটার অব রবার্ট ফ্রস্ট একটি অসাধারণ শিল্পমানের গদ্য বা প্রবন্ধ হিসাবে বিবেচিত ।
ক্রমশই ইংরেজি সাহিত্যে আধুনিকতার প্রভাব দ্বান্দ্বিকতার উর্ধ্বে আর তার অবধারিত সংযোজন হিসাবে কবি লুইস গ্লুক তাঁর সাহিত্যকর্ম নিয়ে নোবেল জয়ের মাধ্যমে একটা বড় ধরনের ভূমিকা নিয়ে অবতীর্ণ হলেন। তাঁর নিজস্বতা এবং কাব্যবলয় হচ্ছে অভিনব আত্তীকরণ প্রক্রিয়া, তিনি সহজেই পাঠকের মগজে অবস্থান নিতে সচেষ্ট। মানবিক হতে চাওয়ার যন্ত্রণাদায়ক বাস্তবতার কথা উঠে আসে লুইসের সাহিত্যকর্মে। তাঁর লেখায় পারিবারিক জীবন, বাল্যকাল আর গ্রীক-রোমান পৌরাণিক কাহিনীর সাবলীল ও নান্দনিক প্রকাশ৷
মৃত্যু, শৈশব ও পারিবারিক জীবনকে উপজীব্য করে তিনি লিখেছেন অজস্র কবিতা। এই সূত্রই তার কবিতার যোগসূত্র ঘটেছে গ্রিক পুরাণ ও পৌরাণিক চরিত্রের সঙ্গে।
ওয়াইল্ড আইরিশ গ্রন্থে কবি সৃষ্টিকর্তা এবং মানুষের, মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে ধ্যান বা মননে একাগ্রভাবে গভীরচিন্তার বিষয়গুলোকে আলোকপাত করেছেন৷ প্রকৃতির বিশেষত্ব বলতে উদ্ভিদজগতের সাথে মানুষের ভাবনার অন্তর্নিহিত বিষয়গুলো কিভাবে সার্বিকভাবে প্রভাবিত করে। কিভাবে মানুষ তাদের অনুভূতির সাথে লড়াই করে এবং ঈশ্বর সম্পর্কে তাদের বিশ্বাস, এবং মানুষের প্রতি ঈশ্বরের অবস্থান, প্রকৃতি এবং ঈশ্বরের মতবাদ নিয়ে সৃষ্টির বিষয়ে কৌতূহল ও ঈশ্বরের অস্তিত্বের বিষয়টি যেন তাকে প্রতিনিয়ত নাড়া দিয়ে যায়। প্রায় প্রতিদিনের ছোট্ট বিষয় সম্পর্কেও আবেগ, জটিলভাবনা এবং সৃষ্টির বিমূর্ত ধারণাগুলো তার কবিতার মধ্য দিয়ে চলে আসে এবং তিনি তার কাব্যশক্তির রহস্যের গভীরতাকে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। সিলভিয়া প্লাথের কবিতায়ও আমরা ঠিক একই প্যাটার্ন দেখতে পাই, তিনিও এতটা বিচ্ছিন্ন, হতাশাবোধ এবং প্রায়শই এই বিচ্ছিন্নতাটি নান্দনিকভাবে আকর্ষণীয় করে তুলতে মোটেই পিছিয়ে ছিলেন না।
লুইসকে একজন আত্মজীবনীমূলক কবি হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়, কারণ তার কর্ম মানসিক অবস্থান থেকে অনেকটা সংগৃহীত বলা যেতে পারে এবং তার ব্যাখ্যাগুলো স্বাভাবিক জীবনচরিত থেকে নেয়া। তিনি তার সৃষ্টিতে আবেগ ও বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিয়ে আসছেন বলেই সাধারণ পাঠকের একান্ত কাছে পৌছতে সক্ষম হয়েছেন।
লুইস খুব অল্প বয়সেই কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর বাবা-মার কাছ থেকে গ্রীক পুরাণ এবং জোয়ান অফ আর্কের কিংবদন্তীর মতো ক্লাসিক গল্পের শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তিনি ১৯৬১ সালে স্নাতক হন এবং পরবর্তীতে লঙ সারা লরেনস কলেজ, উইলিয়াম কলেজ, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাব্যকলা বিষয় নিয়ে পড়িয়েছেন৷ বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা হিসাবে কর্মরত আছেন। কবি ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পোয়েট লরিয়েট’ হবার মত সম্মান অর্জন করেন। পারিবারিক জীবনের নানা প্রতিকূলতার অভিজ্ঞতাকে উপজীব্য করে উপস্থাপিত তার কবিতা ‘দ্য ওয়াইল্ড আইরিশ’ কবিতা সংকলনের জন্য ১৯৯৩ সালে তিনি পুলিৎজার পুরস্কার এবং মৃত্যু ও শোকভাব নিয়ে মলাটবদ্ধ ফেইথফুল এওয়ার্ড ভার্চ্যুয়াস নাইট’ কবিতা সংকলনের জন্য ২০১৪ সালে পান ন্যাশনাল বুক এওয়ার্ড।
এ পর্যন্ত ১২টি কবিতার বই প্রকাশের পাশাপাশি প্রবন্ধও লিখেছেন লুইস৷ তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘দ্য ওয়াইল্ড আইরিশ' এবং ‘ফেইথফুল ও ভার্চুয়াল নাইট'৷কবি লুইস গ্লুক অসংখ্য প্রকাশনার মধ্যে অন্যতম পুরষ্কার প্রাপ্ত বইগুলির মধ্যে রয়েছে দ্য ওয়াইল্ড আইরিশ ২০১৫ সালে তিনি আমেরিকান একাডেমী অফ আর্টস থেকে কবিতার জন্য স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটির রাইটার-ইন-রেসিডেন্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
কবি লুইস এলিজাবেথ গ্লুকের কবিতা
ইংরেজি থেকে অনুবাদ
ফারুক আহমেদ রনি
নস্টোস
(শব্দের মূল নস্টালজিয়া)
প্রায় চল্লিশ বছর আগের কথা
এখানে এই উঠানে একটি আপেল গাছ ছিল -
পিছনে, প্রান্তরজুড়ে তৃণভূমি।
স্যাঁতসেঁতে ঘাসের উপর বিস্তৃত বাহারি জাফরান।
আমি জানালার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম:
এপ্রিলের অন্তিমকাল
বসন্তের ফুলে ফুলে শোভিত প্রতিবেশীর উঠোন।
আমার জন্মদিনে কতবার ফুল ফুটতো গাছটিতে?
না আগে বা পরে, সত্যি অবাক করা
ঠিক সেই দিনটিতে।
এই বাড়ি ছেড়ে দূরে চলে গেলেও
পিছনে ফেলে যাওয়া সবকিছুই যেন স্মৃতি,
আজ সেই অভিযোজিত স্মৃতিগুলো যেন আরো বিকশিত।
এ যেন নিরলস পৃথিবীর জন্য
বিকল্প প্রতিচ্ছায়া।
আমি এই জায়গা সম্পর্কে কতটুকু বা জানি,
দশকের পর দশক ধরে
গাছ বলতে ক্ষুদ্রাকার একটি বনসাই
যেন বাস্তবতাকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে।
টেনিস কোর্ট থেকে ভেসে আসছে কণ্ঠস্বর -
মাঠ বিস্তৃত দীঘল ঘাস, সদ্য কাটা স্নিগ্ধ গন্ধ,
যেন প্রত্যাশিত সেই বাউলের অপেক্ষা।
কেবোল শৈশবেই একবার আমরা পৃথিবীটাকে দেখি
বাকিটুকু সব কেবলই স্মৃতি।
ডুবন্ত শিশুরা
দেখুন, ওরা যেন নিতান্তই নির্বোধ
স্বাভাবিকভাবেই ডুবে মরবে
প্রথমে বরফের আলিঙ্গনে ভেতরে গ্রাস করবে,
পুরো শীতকাল, তাদের পশমি আচ্ছাদন ভাসতে থাকবে
যতক্ষণ না জলাশয় তার অন্ধকার বাহুতে আশ্লেষে জড়িয়ে নেয়,
তারপর নিশ্চল, নিস্তব্ধ।
বৈচিত্র্যময় মৃত্যু আসে তাদের কাছে ,
জীবনের শুরুতেই মৃত্যুর এমন অপরোক্ষ অনুভূতি!
কিন্তুতারা ছিল উদাসীন, উপেক্ষিত,
কেবলই একটুকরো দীপ্ত আলোকের প্রত্যাশায় স্বপ্নেবিভোর।
ধীরে ধীরে বরফস্তুপে আচ্ছন্ন হতে থাকে
যেন টেবিলের সাদা কাপড়ে আবৃত করে রাখা
তাদের শরীর ।
তখনও শিশুরা শুনতে পায়
পা পিছলে জলাশয়ে পড়তে পড়তে
কেউ একজন তাদের নাম ধরে ডাকছে;
তোমরা অপেক্ষা করছো কেন
ঘরে এসো, ফিরে এসো ঘরে,
তারপর অনন্তের পথে তারা হারিয়ে যায়
নীল জলের অতল গভীরে ।
পিঙ্গল বৃত্ত
মা জানতে চাইতো পরিবার এবং ভালবাসা নিয়ে
আমার কেন এত উদাসীনতা
কিন্তু আমাকে উত্তর দিতে হয়নি,
তার আগেই আমিও মা হলাম।
আমার শৈশবটাই ছিল বিরুপপ্রবণ,
তাই মানুষকে ভালবাসার জন্য
আমার আর কোন বিকল্প ছিলনা।
ভালবাসার পরিপূর্ণতা দিয়ে
আমার সন্তানকেও নিজের মত করে আগলে রাখতে পারিনি,
যেমনটা হবার কথা।
ভেবেছিলাম আমাকে ঘিরে থাকবে
অর্কিডগুচ্ছের মত আকর্ষণ,
আমাকে খুঁজে নেবো পাইনের ছায়ায়
বেড়েওঠা রক্তিম ট্রিলিয়ামের মত
যাকে স্পর্শ করার অধিকার কারো থাকবেনা।
একজন বিজ্ঞানীর মত বিবর্ধক কাচের সাহায্যে
ফুলটিকে নিরীক্ষা করবো।
সুর্যের উত্তাপে ঘাসগুলো বাদামী রঙের একটি বৃত্তে
পরিণত হয়েছে ফুলটিকে ঘিরে ।
যেমন আমার মা কমবেশি সেরকম ভাবেই
আমাকে আলিঙ্গনে রেখেছিলেন,
একজন মা হতে হলে, আমাকে শিখতে হবে
কেমন করে সন্তানকে ক্ষমা করার মত বিশালতা
অর্জন করতে হয়,
যেমন, আজ আমি নিরুপায়
আমার সন্তানের উপেক্ষার কাছে।
অতীত
পাইনগাছের দুটি শাখার ফাঁকে হঠাৎ
আকাশে ঝলমলে ছোট্ট একটি আলোকরশ্মি ফুঁটে উঠছে,
তাদের সুক্ষ্মকাঁটা বিধে আছে উপরে প্রসারিত
উজ্জ্বল আলোকপৃষ্ঠে এবং আরো উপরে
যেন পালকখচিত স্বর্গালোক —
বাতাসে ভেসে আসছে ঘ্রাণ, ঠিক যেন সাদা পাইনের গন্ধ,
তীব্র বাতাস প্রবাহিত হয়ে সৃষ্টশব্দে
আলোড়িত করে তুলছে,
সিনেমায় সংযোজিত বায়ুর শব্দের মত,
অদ্ভুত শব্দের ছায়ারা হাঁটছে
দড়ি দিয়ে তৈরি করা কৃত্রিম বায়ুর শব্দ,
এখন যে শব্দ হচ্ছে
মনে হয় যেন নাইটিংগেল বা কর্ডাটার সাথে
পুরুষ পাখি স্ত্রী পাখির সাথে প্রণয়লাপ-
দড়ি নড়ে উঠছে,
দোলনাটি বাতাসের কানেকানে বলছে
দুটি পাইন গাছের সাথে বেঁধে দাও দৃঢ়ভাবে।
বাতাসে ভেসে আসছে ঘ্রাণ, এটাই সাদা পাইনের ঘ্রাণ
ঠিক যেন আমার মায়ের কণ্ঠস্বরের মত শুনাচ্ছে,
নাকি গাছগুলির মধ্যদিয়ে প্রবাহিত বাতাসেরই শব্দ
বাতাসের সাথে কিছুর স্পর্শ না হলে
শব্দের সৃষ্টি হয় কি?
আকাঙ্ক্ষা
মনে পড়ে তোমার সেই আকাঙ্ক্ষার কথাটা?
আমারও অনেক অনেক আকাঙ্ক্ষা।
আমি তোমাকে প্রজাপতি নিয়ে সেদিন মিথ্যা বলছিলাম
অবশ্য আমি বিস্ময় নিয়ে ভাবি সেদিন
তুমি কি চেয়েছিলে।
তুমি কি জানো আমার আকাঙ্ক্ষাকাটা কি?
আমি জানি না, আমি ফিরে আসবো,
জীবনের শেষবেলা হয়ত আমরা একসাথে থাকব।
আমি সর্বদা যা চাই তাই আমি কামনা করে আসছি
তবে আমার আকাঙ্ক্ষাটি ছিল আরেকটি কবিতার জন্য।
প্রথম স্মৃতি
অনেক আগেই আমি আহত হয়েছি।
আমার নিজের উপর প্রতিশোধ নিতে
আমার বাবার বিরুদ্ধে প্রতিশোধের জন্য
আমি বেঁচে আছি।
না, তিনি কেমন ছিলেন
সেজন্য না,
আমি কেমন ছিলাম তার জন্য: সেই প্রথম,
শৈশবে থেকেই আমি জানতাম
ভালবাসা না পাওয়ার কষ্ট,
এর মানে নয় আমি ভালবাসিনি।
বার্ষিকী
বলেছিলাম আমাকে জড়িয়ে শুতে পারবে
তার মানে এই নয় যে
তোমার শীতল পা আমার যৌনাঙ্গের ওপর তুলে রাখবে।
কারো উচিত বিছানায় সহবাসের বিষয়টা
তোমাকে শিখিয়ে দেয়া.
তুমি তোমার উগ্রতাকে নিয়ন্ত্রন করা।
তুমি একি করেছ
বিড়ালটাকে তাড়িয়ে দিয়েছ।
কিন্তু আমিতো সেখানে তোমার হাত চাইনি
ঠিক, এখানে চেয়েছি।
আমার পায়ের দিকে তোমার মনযোগ দেয়া উচিত
এবং সেগুলো চিত্রার্পিত করে রাখা।
পরেরবার পঞ্চদশের উষ্ণতরুণীর মত
আমাকে উপভোগ করবে।
কারণ পায়ের উৎসমূলেই রয়েছে তৃপ্তির উচ্ছ্বাস।