সেই কবে
ফারজানা আহমেদ
তোমাকে দেখেছি সেই কবে!
শিশির ভেজা সকালে
সবুজ ঘাসে তোমার নগ্ন পায়ের শব্দে
চেয়ে থেকেছে অজস্র পায়রার দল
তোমায় দেখেছি সেই কবে!
আর দেখা হয়নি -
দক্ষিণের দুয়ার খুলে যায় বাতাসে,
ভেসে আসে হাসনুহেনার সুবাস
তোমার চুলের সুবাস ভেসে আসে না!
বুড়ো বটগাছটা এখনো আছে
একটু দূরে হাট বসে প্রতি শক্রবার
কত লোকের আনাগোনা
কত হাট ঘাঁট পেরিয়ে আসে
কত লোকের সাথে তাদের দেখা হয়
তোমার সাথে কী হয়েছে দেখা তাদের?
সরিষা ক্ষেতের আল ধরে যে পথ
চলে গেছে, চলে গেছে যমুনার বুকে
বালির চর কুয়াশায় ঢাকা
তারপর চলে গেছে আরো দূরে
এঁকেবেঁকে চলে হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন
দূরত্বটা থেকে যায় তবুও পাশাপাশি
অনেকদিন গড়িয়েছে
অনেক অচেনা পথ হলো চেনা
অনেক বন্ধুর ভীরে,দেখিনি তোমায়!
দূরের আকাশটা ছুঁয়ে রয় দিগন্ত
হৃদয়ের উপত্যকায় জাগে চর,
সেই কবে দেখেছি তোমায় তারপর
তারপর আর দেখিনি
পেছনে ফেলে জীবনের বসন্তগুলো
দুচোখে ধূসর গোধূলির বিষণ্ণ আকাশ
তারপরও দেখিনি তোমায়
সেই কবে! সেই কবে যেন দেখেছিলেম!